সময় বাঁচাতে ব্যবহার করুন MRT Rapid Pass: Metro Rail MRT Pass (DMTCL)

রাজধানী জুড়ে চলাচলের এক নতুম মাত্রা যোগ করেছে ঢাকা মেট্রোরেল। উত্তরা থেকে বর্তমানে মতিঝিল পর্যন্ত সীমিত পরিমাণে এলাকাভিত্তিক স্টেশন চালুর মাধ্যমে সার্ভিস দিচ্ছে মেট্রোরেল। তবুও যেন কমতি নেই মানুষের ভীড়ের! প্রায় সকল স্তরের যাত্রীদের নিরবিচ্ছিন্ন সেবা দিচ্ছে মেট্রোরেল সার্ভিস। এজন্য প্রতিদিন দেখা যাচ্ছে প্রচুর মানুষের ভীড়। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশী সময় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকেট কাটতে গিয়ে। এজন্য সময় বাঁচাতে ব্যবহার করতে পারেন মেট্রোরেলের র‍্যাপিড পাস অর্থাৎ MRT Rapid Pass। জাতীয় পরিচয়পত্র আর মাত্র ৫০০ টাকা দিয়েই করে নিতে পারবেন মেট্রোরেলের র‍্যাপিড পাস! 

মেট্রোরেলের র‍্যাপিড পাস কি/ MRT Rapid Pass কী? 

মেট্রোরেলে টিকেট কাটার লম্বা লাইনে সময় নষ্ট হবার ঝামেলা এড়াতে এবং সহজেই ট্রেনে উঠার জন্য যে পার্মানেন্ট রিচার্জেবল কার্ড ব্যবহার করা হয়, সেটিই মূলত র‍্যাপিড পাস (MRT Rapid Pass)। এটি দেখতে নরমাল একক যাত্রার ওয়ান টাইম টিকেটের মতই তবে এতে ভাড়ার টাকা আগে থেকেই রিচার্জ করা থাকে।


র‍্যাপিড পাস কেন ব্যবহার করবেন? MRT Rapid Pass এর সুবিধাগুলো জেনে নিন

  • মেট্রোরেলের র‍্যাপিড পাস ব্যবহার করলে সবার প্রথমে যে সুবিধাটি পাবেন তা হলো টিকেট কাটার সময় বেঁচে যাবে। লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে না থেকে জরুরি ভিত্তিতে ট্রেন ধরতে পারবেন। 
  • মেট্রোরেলের র‍্যাপিড পাসের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া খুবই সহজ।
  • মাত্র ৫০০ টাকা দিয়ে করে নিতে পারবেন ১০ বছর মেয়াদী মেট্রোরেলের র‍্যাপিড পাস!
  • র‍্যাপিড পাস ব্যবহারে প্রতিটি যাত্রায় আপনি পাবেন রেগুলার ভাড়ার ওপর ১০% ছাড়। অর্থাৎ ১০০ টাকার ভাড়ায় ১০ টাকা, ৫০ টাকার ভাড়ায় ৫ টাকা, এভাবে। 

তো চলুন জেনে নেয়া যাক কিভাবে পাবেন মেট্রোরেলের র‍্যাপিড পাস।


মেট্রোরেলের র‍্যাপিড পাস পাবেন কীভাবে? 

১। র‍্যাপিড পাস নিতে হলে আপনাকে একটি ফর্ম পুরণ করতে হবে। ফর্মটি আপনি পেয়ে যাবেন মেট্রো রেলের প্রতিটি স্টেশনের নির্ধারিত টিকেট অফিস (TOM) থেকে। এছাড়াও আপনি ইন্টারনেট থেকেও ফর্মটি ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিতে পারবেন। 

ফর্মটি ডাউনলোড করুনঃ

https://dmtcl.gov.bd/site/notices/df3e06ad-101d-4e39-984f-7a132e95210f/MRT-Pass-Registration-Form

২। এই ফর্মটি সঠিকভাবে পূরণ করে নির্ধারিত টিকেট অফিসে জমা দিলে আপনাকে তারা একটি র‍্যাপিড পাস (MRT Rapid Pass) ইস্যু করে দিবে। 

৩। এই কার্ডটি নিতে হলে আপনাকে নূন্যতম ৫০০ টাকা জমা দিতে হবে। এখান থেকে ২০০ টাকা নিরাপত্তা জামানত বাবদ রাখা হয় এবং বাকি ৩০০ টাকা আপনি যাত্রার ভাড়া বাবদ ব্যবহার করতে পারবেন।

৪। আপনি এই কার্ডে সর্বোচ্চ ১০,০০০ টাকা রিচার্জ করতে পারবেন এবং এই কার্ডের মেয়াদ থাকবে ইস্যু ডেইট হতে আগামী ১০ বছর পর্যন্ত। 

৫। আপনার যদি কার্ডটি আর ব্যবহৃত না হয় এবং কার্ডটি যদি ব্যবহারযোগ্য থাকে,  তাহলে আপনি  নির্ধারিত টিকেট অফিসে এসে কার্ডটি ফেরত দিতে পারবেন। এক্ষেত্রে তারা ৫০ টাকা সার্ভিস চার্জ কেটে রেখে ব্যালেন্স টাকা আপনাকে ফেরত দিয়ে দিবে।

৬। যদি আপনার র‍্যাপিড পাস হারিয়ে যায় আপনি পুনরায় ২০০ টাকা জমা দিয়ে আবার একটি পাস তুলতে পারবেন। এক্ষেত্রে নিরাপত্তা বাবদ ২০০ টাকার সাথে রি-ইস্যু প্রসেসিং বাবদ আরও ২০০ টাকা, অর্থাৎ মোট ৪০০ টাকা জমা দিয়ে নতুন কার্ড তুলতে হবে। হারিয়ে যাওয়া কার্ড খুঁজে পেলে সেটি ব্যবহারযোগ্য থাকলে ৫০ টাকা সার্ভিস ফি প্রদান করে নিরাপত্তা জামানত ফেরত পেতে পারবেন।

৭। একটি জাতীর পরিচয়পত্র/ জন্ম নিবন্ধন/ পাসপোর্ট অথবা ডাইভিং লাইসেন্সের বিপরীতে একটি র‍্যাপিড পাস ইস্যু করা যাবে। তবে কার্ড হোল্ডার ছাড়াও যে কেউ এই কার্ড ব্যবহার করে মেট্রোরেলে ভ্রমণ করতে পারবে।

৮। যাত্রার শুরুতে আপনি র‍্যাপিড পাস চেকিং করে ভেতরে ঢুকবেন, যেই স্টেশনে চেক আউট করবেন সেই স্টেশনের ওপর ভিত্তি করে আপনার র‍্যাপিড পাস থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভাড়া কেটে নেয়া হবে। অবশ্যই আপনি রেগুলার ভাড়া থেকে ১০% ডিসকাউন্ট পাবেন।

৯। টিকেট চেক আউট করার সময় আপনি স্ক্রিনে আপনার ব্যালেন্স দেখে নিতে পারবেন। 

১০। পর্যাপ্ত ব্যালেন্স না থাকলে ওখানেই পাশে কাউন্টার থেকে রিচার্জ করে অথবা বাকি টাকা জমা দিয়ে চেক আউট করতে পারবেন। তবে সামনে এক-পে এর মাধ্যমে অনলাইন ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহার করে র‍্যাপিড পাস রিচার্জ করার সুবিধা চালু করা হবে


দ্রুততম সময়ে যাত্রা করার জন্য মেট্ররেলের র‍্যাপিড পাস ব্যবহার করাই সুবিধাজনক। 


Post a Comment

0 Comments