Blog Vs Vlog: Know the Differences

আপনি জানেন কি, আপনি এই মুহূর্তে যেটা পড়ছেন সেটা আসলে কি? Blog নাকি Vlog? অনেকেই হয়ত ইতোমধ্যে বুঝে গেছেন যে এটি আসলে একটি  Blog। আর আমি যে এটা লিখেছি এটা হলো আমার Blogging।

আসলে Blog আর Vlog নিয়ে আমাদের মধ্যে এত এত প্রশ্ন উঠে আসে যে আজকে সেইসব প্রশ্নের উত্তর নিয়ে হাজির হয়েছি এখানে। পাশাপাশি অনেকেই আছেন Blog/Vlog সাইডে শিফট করার কথা ভাবছেন। কিন্তু, মাথায় ঘুরছে অনেক প্রশ্ন! কোনটা করতে সহজ হবে, কোনটায় কস্টিং কম হবে, কোনটার মাধ্যমে আয় করা যাবে বেশী বেশী ইত্যাদি।

Blog আর Vlog এর মধ্যে বিদ্যমান Difference গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করলে আপনাদের কাছে পরিষ্কার হয়ে উঠবে অনেক কিছু। তো চলুন দেরী না করে শুরু করা যাক। 


Blog Vs Vlog

Blog হলো অনলাইন প্লাটফর্মে ব্যবহার উপযোগী একটি লিখিত কন্টেন্ট বা পাব্লিশড আর্টিকেল যা আপনাকে নির্দিষ্ট কোনো একটি বিষয়ের ওপর ধারণা দিয়ে থাকে। Blog এর যাত্রা শুরু হয় ১৯৯০ সালে। পৃথিবীতে প্রায় ৭৭ শতাংশ ইন্টারনেট ইউজারস বিভিন্ন ধরণের Blogs পড়ে থাকেন। 


অন্যদিকে, Vlog হলো Video Blog এর শর্ট ফর্ম। অর্থাৎ Vlog হলো অনলাইন প্লাটফর্মে ব্যবহার করা হয় এমন কন্টেন্ট কিন্তু এটি লিখিত নয় বরং ভিডিও কন্টেন্ট। Vlog এর সূচনাকাল ২০০০ সাল। পৃথিবীর প্রায় ৬১ শতাংশ Vloggers সপ্তাহে একাধিক ভিডিও আপলোড করে থাকেন। 



Blog Vs Vlog- Know the Differences


১) Blog হলো লিখিত কন্টেন্ট। অন্যদিকে Vlog হলো ভিডিও কন্টেন্ট।


২) Blog এর বিভিন্ন হোস্টিং প্লাটফর্ম হলো Blogger, WordPress ইত্যাদি। অন্যদিকে Vlog এর হোস্টিং প্লাটফর্মগুলোর মধ্যে আছে YouTube, Instagram, Facebook ইত্যাদি।


৩) Blog তৈরির সময় পাঠকের সুবিধার কথা মাথায় রেখে সুন্দর ভাষা এবং সাবলীল বাক্যগঠনের দিকে মনোযোগী হতে হয় যাতে Blog টি পাঠকের কাছে বোধগম্য হয়। অন্যদিকে Vlog তৈরির সময় দর্শকের ইন্টারেস্ট এবং দৃষ্টিভঙ্গীর কথা মাথায় রেখে ভিডিওটি আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করার দিকে জোর দিতে হয়।


৪) Blog এ Affiliate Marketing করে টাকা আয় করা যায়। আর Vlog এ Advertisement এর মাধ্যমে টাকা আয় করা যায়।


Blogging সম্পর্কে জানতে ভিডিও সিরিজ দেখতে পারেনঃ Click Here



Blog Vs Vlog- সুবিধা এবং অসুবিধাগুলো কি কি?


Blog-এর সুবিধা এবং অসুবিধা


সুবিধা : Blog হলো একটি শক্তিশালী লিখিত মাধ্যম যা ব্যবহার করে পৃথিবীর লক্ষ লক্ষ পাঠকের সাথে যুক্ত হওয়া সম্ভব। প্রচুর পরিমাণে রেফারেল জেনারেট করা সম্ভব Blog এর মাধ্যমে এবং Blog SEO এর জন্য অনেক ভালোভাবে কাজ করে। Blog ব্যবহার করে পাঠকদের  টার্গেট করা সহজ। এখানে পাঠকেরা এনগেইজ করে এবং ট্রাস্ট বিল্ড করার একটি ক্ষেত্র তৈরি হয়। Vlog এর তুলনায় Blog এর মাধ্যমে সহজে কন্টেন্ট ক্রিয়েট করা যায়।


অসুবিধা: এদিকে সুবিধার পাশাপাশি যেসব অসুবিধা আছে সেগুলো হলো, এখানে একটি ভালো পাঠকশ্রেণী তৈরি হতে বেশ অনেকটা সময় লেগে যায়। Blog কন্টেন্ট ক্রিয়েট করা খুব সহজ হয়না সবসময়। কখনো কখনো পাঠক পাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। Blog এ আপনি কখনোই ভিজ্যুয়াল এক্সপ্রেশন ক্রিয়েট করতে পারবেন না। এখানে ইন্টারেকশন তুলনামূলক কম। অনেকসময় ভিজ্যুয়াল প্রুফ এর অভাবে Blog মানুষের কাছে Authentic মনে হয়না। 


Vlog-এর সুবিধা এবং অসুবিধা


সুবিধা: Vlog মানেই আপনার হাতে আছে শক্তিশালী ভিজ্যুয়াল এ্যাপিয়ারেন্স যা দিয়ে আপনি চমক সৃষ্টি করতে পারেন দর্শকের হৃদয়ে! কন্টেন্ট ক্রিয়েট করা বেশ সহজ, তবে কোয়ালিটিফুল কন্টেন্ট ক্রিয়েট করার জন্য দক্ষতা প্রয়োজন। এখানে Blog এর চেয়ে ইন্টারেকশন বেশী হয়। সরাসরি ভিজ্যুয়াল থাকায় দর্শকের কাছে Vlog বেশী Authentic মনে হয়। Vlog একটি Highly Adaptable মাধ্যম যা ব্যবহার করে একটা পুরো Loyal Audience সার্কেল গড়ে তোলা পসিবল।


অসুবিধা: অন্যদিকে সমস্যা হলো এক শ্রেণীর মানুষ আছেন যারা কোনো কিছু দেখার চেয়ে পড়তে বেশী পছন্দ করেন। পাঠক যেমন সে কতটুকু পড়বে বা কত দ্রুত শেষ করবে এটা কন্ট্রোল করতে পারে, Vlog এর Audience সেই সময়টা কন্ট্রোল করতে পারেন না। Vlog একটি সময় সাপেক্ষ ব্যাপার কারণ এখানে আউটপুট আনতে আর দর্শকের দেখতে তুলনামূলক বেশী সময় চলে যায়।  



আপনি Blog নাকি Vlog কোনটা বেছে নিবেন?


Blog or Vlog যেইটাই বেছে নিন, আপনার যদি টার্গেট থাকে কন্টেন্ট থেকে আয় করবেন, তাহলে আপনাকে অবশ্যই কিছু জিনিস মাথায় রেখে আগাতে হবে। নতুবা কোয়ালিটিফুল কন্টেন্ট তৈরি করা সম্ভব হবেনা এবং সেখান থেকে আশানুরূপ ফলাফল পেতে আপনাকে বেশ ঝক্কি পোহাতে হবে। শুরু করার আগে আপনাকে কি কি বিষয় মাথায় রাখতে হবে সেগুলো বলে দিচ্ছি। 


Blog: ব্লগিং থেকে আয় করার জন্য শুরুতে আপনার প্রয়োজন হবে একটি ওয়েবসাইট। সেটা হতে পারে নিজের, হতে পারে অন্যের। পেইড আর্টিকেল লিখে আজকাল বহু মানুষ অনেক টাকা উপার্জন করছে। তবে তার জন্য আপনার সুন্দর লেখার দক্ষতা থাকতে হবে। SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখতে জানতে হবে। বানানে দক্ষতা থাকতে হবে। পাশাপাশি বাংলা এবং ইংরেজি ভাষার দক্ষতা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বিদেশী আর্টিকেল পড়া, সেগুলোর ধাচ বুঝতে পারা এবং লেখার জন্য বাংলার পাশাপাশি ইংরেজিতে দক্ষতা থাকা খুবই জরুরি। এছাড়াও লেখালেখির জন্য বেশী হাই কনফিগারেশনের ডিভাইস না হলেও চলে। আপনি বেসিক পিসি বা ল্যাপটপ ব্যবহার করেই দিব্বি লেখালেখির কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন।


Vlog: Vlogging করতে গেলে আপনাকে প্রথমে মাথায় রাখতে হবে আপনি আসলে ঠিক কি ধরণের দর্শকের জন্য কাজ করতে চাচ্ছেন এবং সেগুলোর মার্কেট ভ্যালু বা চাহিদা কেমন। সুন্দর ভিডিও আপলোড করার জন্য আপনাকে বেশ কিছুদিন তার পিছনে কষ্ট করতে হবে। Blogging-এ যেমন চাইলে আপনি দিনে ২ টা ৩ টা আর্টিকেল লিখে ফেলতে পারেন কিন্তু Vlogging-এ চাইলেই আপনি দিনে ২/৩ টা ভিডিও আপলোড দিতে পারবেন না যদি আপনার টার্গেট থাকে 'Quality Over Quantity'। আপনাকে ভিডিও রেকর্ডিং করার জন্য বেশ কিছু ইকুইপমেন্টস কিনতে হবে এবং মোটামুটি ভালো কনফিগারেশনের ডিভাইস না হলে ভিডিও এডিট করা নিয়ে ঝামেলা পোহাতে হতে পারে। ভিডিও তে যেহেতু অডিও আর ভিজ্যুয়াল দুটোই থাকে তাই শুধু ভিজ্যুয়াল সুন্দর হলেই হবেনা, পাশাপাশি আপনার বাচনভঙ্গী সুন্দর হতে হবে, নতুবা এটার একটা নেগেটিভ ইমপ্যাক্ট পড়তে পারে আপনার দর্শকের ওপর।



পরিশেষে একটা কথা মাথায় রাখতে হবে, রাতারাতি কোনো কিছুতেই সফলতা পাওয়া যায়না। যেকোনো ক্ষেত্রেই ভালো কিছু পেতে হলে সেখানে ইনভেস্ট করতে হয়। আপনার যদি মেধা, দক্ষতা এবং ইনভেস্টমেন্ট ভালো হয় তাহলে আপনি যেকোনো মাধ্যমেই ভালো কিছু করতে পারবেন ইন শা আল্লাহ। 

Post a Comment

2 Comments